সাইকোলজির দুনিয়ায় ম্যালএডাপটিভ ডে-ড্রিমিং একটি নতুন টার্ম। বাংলায় যাকে আমরা দিবাস্বপ্ন বা আকাশ কুসুম কল্পনা বলি অনেকটা সেরকমই, কিন্তু এর পরিসর আর প্রভাব অনেক বেশি। চলুন জেনে নেই কি হয় এই পরিস্থিতিতেঃ
👉মানুষ নানা রকম কল্পনার ঘোরে সময় পার করতে আসক্ত হন।
👉কল্পনাগুলো ছবির মত স্পষ্ট, বিস্তারিত হয়।সময়কাল হতে পারে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত।
👉এ সময় ঐ ব্যক্তি অবচেতনভাবে কল্পনার ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মুখভঙ্গি, ফিসফিস করে কথা বলা, এমনকি হাত-পাও নাড়াচাড়া করেন।
এইধরনের অবস্থায় আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক সমস্যা দেখা যায়।
👉 কাজের মনোযোগ নষ্ট করে। কল্পনার জন্য কোন কাজ ঠিক মতো করা যায় না।
👉দৈনন্দিন কাজের গতি কমে যায়।
👉 রাতে অনিদ্রা দেখা দেয় এবং কাছের মানুষদের সাথে সম্পর্কেও ব্যাঘাত ঘটে।
👉 অনেক সময় দেখা যায়, মাদকাসক্তদের মত কল্পনায় আসক্ত ব্যক্তি কোনো কারণে এই কল্পনায় বাধা পেলে অস্থিরতায় ভোগেন।
এই অবস্থাটির কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে দেখা গেছে, যারা অতীতে কোনো ট্রমা যেমন শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, নিকটজনের থেকে বিচ্ছেদ ইত্যাদির শিকার হয়েছেন তাদের অনেকেরই এই কন্ডিশনটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কেউ যদি বুঝতে পারেন এ সমস্যায় ভুগছেন অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।