You are currently viewing Panic Attack

Panic Attack

  • Post comments:0 Comments

প্রতিদিনের জীবনে নানা ঘটনা-দূর্ঘটনা বা নিজেদের অবস্থা বোঝাতে ‘প্যানিক এ্যাটাক’ শব্দটি আমরা ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন অর্থে এই শব্দটি ব্যবহার করার কারণে হয়তো ‘সত্যিকার’ প্যানিক এ্যাটাকগুলো কতখানি কষ্টকর আর যন্ত্রণাদায়ক হয়, সেগুলো আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছু নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করি, সময়ে সময়ে নার্ভাস হয়ে পড়ি। এসব জিনিস আসলে ঠিক প্যানিক এ্যাটাককে বোঝাতে পারে না।

প্যানিক এ্যাটাক হলো মূলত আকস্মিকভাবে কিছু সময়ের জন্য প্রচন্ড ভয়ের অনুভূতি। এসময় ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়; যেমন- 

– হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে, 

– ঘাম হওয়া, 

– কাঁপুনি হওয়া, 

– শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, 

– শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি হওয়া, 

– বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া, 

– মাথা ভোঁ ভোঁ করার মতো অনুভূতিও হতে পারে। 

উপরের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্ততপক্ষে চারটা লক্ষণ দেখা দিলেই সেটিকে প্যানিক এ্যাটাক বলে মনে করা হয়। তবে এসব লক্ষণ ব্যক্তিভেদে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। অনেকসময় আশপাশে প্যানিক হওয়ার এর মতো কোনো অবস্থা না থাকলেও প্যানিক এ্যাটাক শুরু হতে পারে। 

দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের মধ্যে কেউ প্যানিক এ্যাটাকে আক্রান্ত হলে অন্যদের অনেকসময় বলতে শোনা যায় ‘একটু শান্ত হলেই তো হয়’ বা ‘আরে এসব নিয়ে এত আপসেট হওয়ার কিছু নেই!’। কিন্ত এই কথাগুলো আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে অস্থিরতা-বিরক্তিবোধ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাহলে এসময় আমরা কি করতে পারি? আক্রান্ত ব্যক্তিদের সরাসরি তাদের কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করতে পারি এবং তাদের অবস্থা বুঝে যতখানি সম্ভব সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করতে পারি। চলুন জেনে নেই প্যানিক এ্যাটাক রোধ করতে কি কি করতে পারি-

১। পুস্টিকর খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমানো

২। Meditation করা

৩। present situation কে প্রাধান্য দেয়া

৪। দুশ্চিন্তা কাটাতে সবসময় positive চিন্তা করা

৫।  পছন্দের কাজগুলো করা 

৬। মনের কথা share করা  এবং নিজেকে সময় দেয়া 

৭। ডায়েরি লেখা এবং কি নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে  তার একটা তালিকা তৈরি করা 

আশা করি, এই টিপসগুলো panic attack থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে

Leave a Reply