You are currently viewing Sharing my thoughts

Sharing my thoughts

  • Post comments:0 Comments

শুরুতেই বলে দেই।

না ভাই।

আমি আমার ফেসবুক প্রোফাইলকে matrimonial platform ভাবি না।

আমি আমার ছবি প্রতিদিন আপলোড দেই আমার ভালো লাগে,সেজন্যে।

সেটার সাথে বিয়ের বাদ্য বাজলো কি না,বর খুঁজতেসি কি না,সেলিব্রিটি ভাব নিচ্ছি কি না এসবের কোন প্রকারই কোন সম্পর্ক নাই।

এই যুক্তিতে যদি বলি,যারা খাবারের ছবি দেন,তারা কি সবাই শেফ হয়ে যাচ্ছেন অদূর ভবিষ্যতে?নাকি KFC খুলবেন?

আমি গীবত পছন্দ করিনা।

তা-ও হয়ে যায় অজান্তে।

আর সেকারণেই এই লেখা।

আমি আমার জীবনে ভালো থাকতে চাই আমার মতো করে।

আমি মনের ভেতর কোন grudge পুষে রাখতে চাইনা।

যারা বুঝবার,বুঝে নিবেন।

ডিপ্রেসিভ+ পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসওর্ডার এর এপিসোড চলাকালীন সময়ে অতিরিক্ত প্রেশার নিতে নিতে অনিয়ম হতে দেখলে রাগ কন্ট্রোল করতে না পারায় আমাকে কেউ বুঝতে চায়নি,বদমেজাজী আখ্যা দিয়েছে সহজেই।

কারণ ট্যাগ লাগানো অনেক সহজ।

কেউ আবার সহমর্মিতার সুন্দর প্লেটে করে এক গাদা লবন এনে সেই ক্ষতগুলোতে মালিশ করেছেন।

কেউ কেউ ইচ্ছামতো বিয়ের আলাপ নিয়ে আসতেন,যাতে আমার একটা গতি হয়।🙄🙄

কারণ ডিভোর্সড যেহেতু,একটু তো adjust করতেই হবে।😆😆

আজ তাদেরই কেউ কেউ যখন বলেন,আর কতো সুন্দর হতে চাও?আর শুকিয়ে কি করবা?পারফেক্ট আছো এখন।

কেউ বলেন,এখনই সময়,বিয়ে করে ফেলো।(বিয়ে তো গাছের ফল রে ভাই,ঝাঁকুনি দিমু আর টুপ করে আমার কাছে পড়বে!!!)

কেউ আবার বলেন,কয়েকবছর পরে বাচ্চাকাচ্চা নিতে সমস্যা হবে। কিন্তু কতো রোগী এমনও দেখি অল্পবয়সে anovulatory cycle এর কারণে primary infertility,আবার কেউ চল্লিশেও মা।

আল্লাহতা’আলা যাকে যখন যা দেন।

আমার পোস্ট গ্র‍্যাড হয়নি,অনেকের হচ্ছে,হয়েছে।

তাদের রিজিকে আল্লাহতা’আলা লিখে রেখেছেন।

আমার রিজিকে এখনো আসেনি,আসবে ইনশাআল্লাহ।

আর গ্র‍্যাজুয়েশনটাই কতজন মেয়ের হয়???

 আর তাই,যারা এতো কনসার্নড আমার জীবন নিয়ে,তাদেরকে এক এক করে উত্তর না দিয়ে উত্তরটা বরং একসাথেই দেই।

আমি পারফেক্ট না,পারফেকশনিস্ট ও না। আমি শুধু ভালবাসতে শিখেছি,নিজেকে।

আর সেই ভালবাসা থেকে আমি জানি ফিট থাকতে চাওয়া দোষের কিছু না,হালকা সাজতে চাওয়া অন্যায় না,if that makes me happy। 

নিজেকে আয়নায় দেখতে সুন্দর লাগে,তাই সাজি, একটু ফিট থাকার ট্রাই করি।😁😁😁

এমন অনেক মানুষের মেসেজও আসে,যাদের কাছে আমার জীবন ইন্সপায়ারিং লাগে। ভালো লাগে পড়ে সেই মেসেজগুলো। আমার মতো nobody যদি কাউকে বাঁচার,নিজেকে ভালবাসার প্রেরণা দেয়,তাহলে চোখের কোণা একটু হলেও চিকচিক করে।

আলহামদুলিল্লাহ যতটা পথ পার হয়ে এসেছি,সেটুকুর জন্যে। কোনদিন স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবো না,এই শংকা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে।দুই ক্রাচের দিকে এখনো তাকাই আর অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আল্লাহতা’আলার দরবারে শুকরিয়া জানাই।

নিজেকে ভালবাসতে জানা।

অন্যের কাছে ভালবাসা ভিক্ষা চাওয়ার চাইতে সেটাই ভালো নয় কি???

যে সত্যিকারের ভালবাসার,এমনিতেই বাসবে।

যারা দুঃসময়ে পাশে থাকার,

তারা ছিলো, আছে, থাকবে ইনশাআল্লাহ।

শুধু মিষ্টি কথা দিয়ে নয়,বরং সত্যিকার সহমর্মিতা দেখানো মানুষগুলো আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেও।

আমি তাদের সাথে তাই প্রাণ খুলে হাসি।

কেউ কেউ ভাবেন,এই করোনার সময়ে হাসি ক্যামনে???

আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি,সেজন্যে।

চিন্তা করে দেখেন,এই করোনার সময়ে আপনি আমি সবাই সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করছি।

এমনকি অপু ভাই-ও 😂😂😂(বেচারা!!!)

আমাদের বাসায় ইন্টারনেট কানেকশন বহাল তবিয়তে চলছে।

তীব্র গরমে কারো কারো বাসায় এসি ফ্যান সবই আছে।

টেবিলে ৩ বেলা খাবার তো আছেই,এই ইদে নাস্তা,নতুন নতুন আইটেম বানানোর উপকরণ কেনার সামর্থ্যও আছে।

আলহামদুলিল্লাহ।

আল্লাহতা’আলা অনেককে এখনো পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন।

যারা এই অবস্থায় বাইরে কাজ করছেন রিস্ক নিয়ে,

এক একজনের কষ্ট এক এক রকম।

আপনি জানেন না হয়তো কে কাকে কিভাবে সাহায্য করছে।

আমাদের চিন্তাধারা অনেক অদ্ভুত আসলে।

শো অফ না করে অধিকাংশ আমরা সাহায্য করতে পারিনা।

এখানে শেয়ার না করে খেতে পারিনা।

বেড়াতে গেলে এখানে ছবি দেই।

কিচ্ছু কিন্তু দোষের না।

আমি গীবত করতে কথাগুলো বলছি না।

বলছি,যার যার জীবনের ভালো থাকার প্রকাশ তার তার মতন।

আমি আমার ছোট্ট গন্ডিতেই সুখী। অসংখ্য খারাপ লাগার মূহুর্তগুলো নিয়ে হাপিত্যেশ না দেখিয়ে এই হাসিখুশি মূহুর্ত শেয়ার করতেই প্রেফার করি বেশি।

আর সেজন্যেই বলি,আমি যদি আপনার ইনবক্সে গিয়ে আপনাকে জ্ঞান না দেই,তাহলে আপনিও নাহয় বন্ধ করেন।

আমার ইনবক্সকে জ্ঞানবাক্স না বানিয়ে একটু রেহাই দেন।

আমার প্রতিদিনের জীবনের হাসিখুশি মূহুর্তের ছবিগুলো পছন্দ না হলে রিমুভ করে দেন।

আর যদি মনে করেন,সাইলেন্টলি থাকবেন,সিম্পলি আনফলো করে রেখে দেন।দেখা লাগলো না,বিরক্তির উদ্রেকও করলো না।

ট্রাস্ট মি,অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলের নেতিবাচক 

পোস্ট দেখতে দেখতে ভয়ে আমি তাদের আনফলো করে রেখে দিয়েছি। because that drains my positive vibes to a certain extent.

করে দেখতে পারেন,ভালো লাগবে।🙂🙂

আসলে আমি অশান্তি দেখতে দেখতে ভীষণ ক্লান্ত এখন।

নিজের অশান্তিটুকু ঢালাওভাবে না বলে কিছু মানুষকে বলি,শান্তি লাগে যাদের কথায়।বকা দেয়,তারপরেও।কারণ আমি জানি,দিন শেষে এই মানুষগুলো রক্তের সম্পর্কের চাইতেও অনেক বেশি আপন।

আর এখানে আমার মতো করে স্ট্রেস-ফ্রি মূহুর্তের ছবিগুলো দিয়ে রাখি।যাতে অনেক বছর যদি বাঁচি,এই করোনা আতংক যদি কখনো চলে।যায়,তখন নিজের পিঠ নিজে চাপড়ে বলতে পারি,”শাব্বাস শেরনী,তুই পেরেছিস তোর মতো করে বাঁচতে।”

সবাই ভালো থাকবেন।

দোয়া করবেন যাতে সবাই এই দুর্দিন থেকে মুক্তি পাই।🙂🙂

By: Dr Nazmun Naher Khan 

Leave a Reply