শিরোনামঃ মেয়ে
মেয়ে,তুমি ভালো আছো তো?
মেয়ে,তুমি কি ভালবাসো?
না না,আমি তোমাকে ওসব
প্রেম প্রেম ভালবাসার কথা বলছি না।
আমি বলছি নিজেকে ভালবাসার কথা।
শেষ কবে নিজেকে ভাল বেসেছিলে,
মনে আছে কি তোমার?
মেয়ে,তুমি কি এখনো ভালবাসো তোমাকে?
নাকি অন্যকে ভালবাসা বিলিয়ে দিতে গিয়ে
ভুলেই গেছো নিজেকে কিভাবে ভালবাসতে হয়?
আচ্ছা মেয়ে,আয়নার সামনে না দাঁড়িয়ে,কিংবা
সেলফি তুলতে পোজ না দিয়ে
কল্পনায় দেখেছো কি কখনো
বৃষ্টির মধ্যে চোখ বন্ধ করে দুই হাত মেলে দাঁড়ালে
তোমাকে কতটা সুন্দর লাগে?
কখনো কি অনুভব করেছো তোমার হাতের সোনার কাঁকনই হোক আর একরাশ কাঁচের চুড়িই হোক,
সে কেবল তোমাকেই মানায়?
মেয়ে তুমি কালো হও কিংবা শ্বেত ধবধবে,
তোমার চোখের কোণের কাজল
সব ভারী ফাউন্ডেশন আর কনসিলারের পরতকে হার মানায়।
কখনো কি ভেবেছ খুশিতে আত্মহারা তোমার চোখের ঝিলিক ঝলমলে আতশবাজিকেও হার মানায়?
হতে পারে তোমার চোখের কোলে কালি জমেছে বহু রাতের অনিদ্রায়।
হতে পারে অযত্নে অবহেলায় তোমার হাতের নখ ভঙুর,
পায়ের নীচটা শক্ত,কারো বেলায় সেই শক্ত মাঠের মধ্যে থেকে ফাটল উঁকি দিচ্ছে।
কিন্তু মেয়ে ভেবেছ কি?
এই হাতের স্পর্শই একটা ঘরকে সংসার বানায়,
বাইরে কাজের অংশ হয় সেই সংসার চালানোর।
তোমার দ্রুত পায়ে স্থান বদলের উপর কখনো অনেক কিছু নির্ভর করে,মেয়ে।
মেয়ে তোমার অশ্রু অনেক দামী।
তাকে যত্রতত্র ফেলার কি কোন লাভ আছে?
তাই মেয়ে, তোমাকে বলছি।
অনেক তো বিলিয়ে দিলে ভালবাসা।
এবার নাহয় নিজেকে ভালবাসতে শেখো।
সবসময় পাশের বাসার ভাবীর সাথে প্রতিযোগিতা করে দামী বেনারসির জন্যে মন খারাপ না করে
নিজের স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে তাঁতের শাড়িটা পরে দেখো।
সমাজের দিকে না তাকিয়ে
আড়ালের কথায় কান না দিয়ে সাথে নাহয় কম দামী চপ্পলটাই পরে নাও।
যখন খুশি হাই হিল পরো। বাধা কিসের?
লোকের কথায় কি আসে যায়?
তাদের কাজ এমন যে
যখন তুমি কালো,তখন তোমায় ফেয়ার এন্ড লাভলী ধরিয়ে দেবে।
যখন তুমি ফরসা, তোমাকে ফ্যাকাসে বলবে।
শুকনা হলে বলবে পাটকাঠি আর
মোটা হলে আটার বস্তা।
কেউ দেখতে চাইবেনা তোমার আত্মাকে।বরং শুদ্ধতায় মেলাবে অশুচি।
তাই মেয়ে,তোমাকে বলছি।
আর কারো জন্যে নয়।
বরং নিজেকে ভালবেসে,নিজের জন্যে নিজেকে বদলাও।
By: Dr Nazmun Naher Khan