You are currently viewing Setting Boundaries And Saying No

Setting Boundaries And Saying No

  • Post comments:0 Comments

১। ধরেন আপনি কোন কারণে পরিচিত কারো সাথে হঠাৎ করে বা গ্রাজুয়ালিই কমিউনিকেশন কমিয়ে দিলেন।
আপনার পরিচিত সেই ব্যাক্তির প্রথম রেসপন্স কি হয়? “তুমি তো হারিয়ে গেছো”, “তোমাকে তো খুজেই পাওয়া
যায় না”, “আমাকে এভাবে ভুলে গেলা?”, “আমাকে একটুও মনে পড়ে না?” ইত্যাদি? সেরকম হলে আপনার উত্তর
কি হয়?
২। আপনার অফিসের সিনিয়র নিয়মিতভাবে আপনার সাথে আনজাস্টিফাইড আচরণ করেই যাচ্ছে, কি করেন
তখন?
৩। আপনার পাশের বাসার প্রতিবেশী আপনার সাথে দেখা হলেই গোয়েন্দার মত জিজ্ঞাসা করতেই থাকে, আপনি
কোথায় যাচ্ছেন, বিয়ে করছেন না কেন, কোথা থেকে আসছেন, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যাক্তিগত প্রশ্ন। কিভাবে
ফেইস করেন?
আমার ব্যাক্তিগত কিছু অভিমত শেয়ার করি। পরিচিত কেউ যোগাযোগ কমিয়ে ফেললে আমাদের প্রথম কনসার্ন
হওয়া উচিৎ উল্টোদিকের সেই মানুষটা কেমন আছে, তার দিন রাত কিভাবে কাটছে। তার সাথে কিছু সময় নিয়ে
কথা বলে বোঝার চেষ্টা করা উচিৎ উনি আসলেই কোন সমস্যার মাঝে আছেন কিনা। হতেই তো পারে উনি ঐ
সময় সত্যিই কোন হার্ডশিপ এর মধ্যে ছিলেন। এসব না করে আমরা যদি কনভার্সেশন শুরুই করি উপরের
স্টেটমেন্টগুলো দিয়ে, এটা কি আমাদের মধ্যে এমপ্যাথির চরম অভাব প্রদর্শন করে না? অনেক সময়
অনেকেই নানা কারণে তাদের সমস্যা খুব ভেঙ্গে বলতে চান না, বা হয়তো খুব সংক্ষেপেই বলেন, অথবা কেউ
কেউ বলেন ও না। সেটার ও অনেক কারণ আছে, সেসব নিয়ে আজকে লিখব না। যা হোক, আমার কেন যেন মনে
হয়, এসব ক্ষেত্রে বাউন্ডারি সেট করে এই ধরণের মানুষকে কনশাসলি এভয়েড করে চলার চেষ্টা করা উচিৎ
(এক্সেপশন এপ্লিকেবল)।
এরপর আসি দ্বিতীয় প্রসঙ্গে। এই ব্যাপারটা খানিকটা জটিল বলে মনে হয় আমার। এখানে বেশ কিছু ভাবনা
চিন্তার বিষয় আছে। অনেকেই হয়তো ভাববেন, সিনিয়র যেহেতু, অবশ্যই তিনি ঠিকই বলবেন। এই ভাবনাটা
যেমন আপনার জন্য বিপদজনক, তেমনি সিনিয়র বা জুনিয়র হিসেবে আপনিই সবসময় ঠিক, এই ভাবনাটাও
কিন্তু সমান বিপদজনক! তাহলে আপনি ঠিক নাকি ভুল কি করে বুঝবেন? এখানে অল্পবিস্তর পড়াশুনা করার
ব্যাপার আছে। ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট নিয়ে প্রচুর বই আছে। জানার মত অনেক কিছু আছে বলেই হয়তো
এই বিষয়টা নিয়ে এত লেখালেখি হয়েছে। এবার পড়াশুনা করে যদি বুঝতে পারেন, আপনিই ঠিক, দ্রুত নিজের
বাউন্ডারি সেট করুন এবং আপনার সিনিয়রকে বিনয়ীভাবে পরিষ্কার ভাষায় সেটা জানিয়ে দিন। যেমন রেসপন্সটা
এরকম হতে পারে, “এ বিষয়ে আলোচনায়/ এ ধরণের আচরণে আমি একদমই কমফরটেবল নই, তাই এ বিষয়ে
আমার সাথে কথা না বলতে/ এ ধরণের আচরণ না করতে অনুরোধ করছি।” এই কথাটাই অনেকে সাহস করে বলতে
পারেন না! অথচ এটাই প্রথম ধাপ, এরপরেও করবার মত অনেক কিছুই আছে। কতটুকু সহ্য করবেন দ্রুত সেটা
ডিসাইড করুন।
তৃতীয় প্রশ্ন। বাধ্য প্রতিবেশীর মত যেসব প্রশ্নে আপনি কমফরটেবল না, সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া বন্ধ
করুন। এসব ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি তাকে প্রশ্ন না করতে অনুরোধ করবেন, নাকি বিভিন্ন অযুহাতে তাকে
এড়িয়ে চলবেন সে সিদ্ধান্ত আপনার। মূল কথা একটাই, বাউন্ডারি সেট করা জরুরী, বড্ড জরুরী!
ভাল থাকবেন সবাই।

Written by
Zarin Tasnim
Member of WSIF

Leave a Reply