বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারঃ বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার এর একজন ব্যক্তির খুব দ্রুত মেজাজ পরিবর্তন হয়, তীব্র আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, ঝোঁকের বশে কোন কাজ করে ফেলেন। এবং এজন্য দিনশেষে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন। এধরনের পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার এর ব্যক্তিদের জন্য জীবনের কোন ক্ষেত্রেই কারো সাথে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারা কঠিন হয়ে যায়। কারনঃ কেন হয় তার সঠিক কারন এখনো অজানা। তবে মস্তিষ্কে যে সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ মেজাজকে কন্ট্রোল করে তার পরিবর্তন হলে বর্ডার লাইন পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় এটি বংশগত কারনেও হতে পারে। আবার শৈশবে কোন মানসিক আঘাত থেকেও এটা হতে পারে। যেমন অবহেলা, বাবা-মা’র মৃত্যু, যৌন নির্যাতন, কোন কিছুর অমর্যাদাকর কিংবা চরম অপব্যবহার ইত্যাদির ফলে বড় হয়েও সেগুলো ভুলতে পারে না, সর্বদা উদ্বিগ্ন মানসিক চাপে থাকে। লক্ষনঃ এই পারসোনালিটি ডিসওর্ডার এর লক্ষনগুলোর গুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ
তীব্র আবেগ এবং খুব দ্রুত মেজাজের পরিবর্তন।
ক্ষতিকর, আবেগতাড়িত আচরন। যেমনঃ কোন কিছু অপব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার, গোগ্রাসে খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত ব্যয়, ঝুঁকিপূর্ন যৌন আচরন, বেপরোয়া গাড়ি চালনা ইত্যাদি।
সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে। কারন খুব সামান্য ব্যাপারে কাউকে এই ভাল বলল তো পরক্ষনেই খারাপ। যার ফলে সম্পর্ক রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
নিজের সম্পর্কে অত্যন্ত সংকীর্ন আস্থা। একাকী হওয়ার ভয়ে চরম ভীত থাকে। তাই সর্বদা কাছের লোকজনকে ধরে থাকতে চায়। এতে অনেক সময় চরম বিরক্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হলে কাছের মানুষরাই আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়।
আগ্রাসি ব্যবহার।
সবসময় এক ধরনের শুন্যতা অনুভব করে।
হঠাৎ রেগে যায়। ক্রোধান্বিত হয়ে হিংস্র আচরন করে।
নিজেকেই নিজে আঘাত করতে থাকে। নিজের শরীরকে জখম করে কিংবা আগুন ধরিয়ে দেয়।
আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিছু হলেই মাথায় আত্মহত্যার ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে।
কখনো কখনো বাস্তব জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। চিকিৎসাঃ
এর কারন খুঁজে বের করা।
এর সাথে জড়িত অন্য সমস্যার সমাধান করা।
নিয়মিত মেডিটেশন বা ইয়োগা এবং ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা।
সাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং যেকোন বাজে অভ্যাস যেমন এলকোহল, সিগারেট পরিত্যাগ করা।
প্রয়োজন হলে প্রফেশনাল হেল্প নেওয়া।