“Compulsive Shopping Disorder” একধরনের আসক্তি যা অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটায় অর্থ ব্যয় করার অতিরিক্ত প্রবনতাকে বুঝায়। এই ধরনের ব্যক্তি বারবার কেনাকাটার জন্য মনে প্রবল চাপ অনুভব করে এবং নিজেকে প্রতিরোধ করতে পারেন না। অনেক সময় পণ্যটি হয়ত কেনার সামর্থ্য থাকে না বা ওই জিনিসটি তার দরকার নেই কিন্তু সাময়িক মানসিক প্রশান্তির জন্য তিনি এই কাজটি করতে থাকেন। এই ধরনের অভ্যাসের কারণে আসক্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনে বিশেষ করে আর্থিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক গুলোতে বিরূপ প্রভাব পড়ে । লক্ষণঃ যেকোন পছন্দের জিনিস কেনা বা সেই জিনিসকে নিজের করে রাখার জন্য সারাক্ষণ চিন্তায় ডুবে থাকা ।
কোন জিনিস কেনার পূর্বে ব্যাপক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি করা । কোনো কিছু কেনার পিছনে তীব্র আনন্দ বা উত্তেজনা খুজে পাওয়া ।
খারাপ সময় গুলোকে ভুলে থাকার উপায় হিসাবে কেনাকাটা করা এবং কেনার পর প্রচুর পরিমাণে অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমা করা এবং অযত্নে ফেলে রাখা।
কিনে ফেলার পর অপরাধবোধ বা অনুশোচনায় ভোগা। কমপালসিভ শপিং নিয়ন্ত্রণের কিছু কৌশলঃ
যেই ফ্যাক্টরগুলি এই সমস্যাটি ট্রিগার করে সেগুলো চিহ্নিত করা, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া। যেমন, অনলাইন শপিং বন্ধ করতে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস আনফলো করা ।
চেকবুক বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে এবং নগদ টাকা ব্যবহার করতে হবে যেন কমপালসিভ কেনাকাটা করার সম্ভাবনা কম হয়।
নিয়মিত ব্যয়ের হিসাব রাখতে একটি শপিং ডায়েরি রাখা এবং সমস্ত অর্থের হিসেব ট্র্যাক করা কমপালসিভ শপিংয়ের একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার হল পছন্দসই কিছু দেখে তাৎক্ষণিকভাবে তা সংগ্রহে রাখার ইচ্ছা তাই যখনই এমন মনে হবে তখন কমপক্ষে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা ।
এই আসক্তি জীবনে বড় ধরনের বিপত্তি ঘটাতে পারে তাই তার আগেই একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া। আজকাল ইন্টারনেটের যুগে এই আসক্তি কাটিয়ে ওঠা কঠিন, তাই সমস্যা সমাধানে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এই লেখাটি শেয়ার করুন এবং আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের কে জানান।
