আজ কথা বলবো Stockholm syndrome নিয়ে। এই সমস্যাটির নাম হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন। ১৯৭৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সংঘটিত এক ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সময় ৬ দিন ধরে জিম্মি হয়ে থাকা ব্যক্তিরা তাদের আটককারী ডাকাতদের প্রতি কোন এক অজানা কারণে দূর্বলতা প্রকাশ করেছিল – এই ঘটনার পর থেকেই এধরনের আচরণকে স্টকহোম সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি এতটাই প্রকট যে এটা যৌন নিপীড়ন ও পারিবারিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও নিযার্তিত ব্যাক্তির মাঝে তৈরি হতে পারে৷ এধরনের সমস্যায় আক্তান্ত ব্যাক্তিদের মাঝে সাধারণত বিশেষ কিছু আচরণ দেখা যায়ঃ ১। তার সাথে যে অন্যায় হচ্ছে এটাই তিনি বুঝতে পারেন না। বরং অন্যায়কারীর প্রতি তীব্র ইমোশনাল এটাচমেন্ট অনুভব করেন। ২। নিজেই চেষ্টা করেন অন্যায়কারীকে ডিফেন্ড করবার এবং বিভিন্নভাবে শুধু অন্যায়কারীর সব কাজই পজিটিভলি দেখতে থাকেন। চলুন দেখে নেই কিভাবে এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সাহায্য করা যেতে পারেঃ
এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অবশ্যই প্রফেশনাল হেল্প নিতে সাহায্য করতে হবে।
এধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সাপোর্ট দিতে হলে, তার কথাগুলো মন দিয়ে নন জাজমেন্টাল ভাবে শুনতে হবে এবং তার কথাকে আপনি সম্মান করেন সেটা বুঝতে দিতে হবে।
যেহেতু নির্যাতিত ব্যক্তি নির্যাতনকারীর সাথে আবেগীয়ভাবে সম্পর্কযুক্ত, ফলে সে তার এই আবেগের কারণে কি কি দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটাও যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে পারে না৷ এক্ষেত্রে এমনভাবে তাকে মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে যেনো তিনি আবেগের বাইরে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে পারেন।
নির্যাতিত ব্যাক্তিকে একটা কম্ফোর্ট জোন বা কাছের মানুষ দের মাঝে রাখার চেষ্টা করতে হবে যেনো নির্যাতক থেকে তিনি দূরে থাকতে পারেন এবং তার নিজের মাঝে কনফিডেন্স গড়ে তুলতে পারেন। সবশেষে বলতে চাই, আমাদের আশে পাশে অনেকেই হয়তো আছেন যারা এই সমস্যাটিতে আক্রান্ত। বৈবাহিক সম্পর্কে অথবা প্রেমের ক্ষেত্রেও কিন্তু এধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। উপরে বর্ণিত কাজগুলো করে কিছুটা হলেও আমরা নির্যাতিত ব্যাক্তিকে সাহায্য করতে পারি।